Thursday, January 23, 2014

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারবাসোমপুর বিহারবাসোমপুর মহাবিহারবর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীনবৌদ্ধ বিহার।পালবংশেরদ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯সালে স্যারকানিংহামএই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।১৯৮৫সালেইউনেস্কোএটিকেবিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানেরমর্যাদা দেয়।অবস্থান ও আয়তনপুন্ড্রবর্ধনের রাজধানীপুন্ড্রনগর(বর্তমান মহাস্থান) এবং অপর শহর কোটিবর্ষ (বর্তমান বানগড়)এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার। এর ধ্বংসাবশেষটি বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গতনওগাঁ জেলারবাদলগাছি উপজেলারপাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। অপর দিকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে এর দূরত্ব পশ্চিমদিকে মাত্র ৫ কিমি। এর ভৌগোলিক অবস্থান ২৫°০´ উত্তর থেকে ২৫°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫০´ পূর্ব থেকে ৮৯°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত। গ্রামের মধ্যে প্রায় ০.১০বর্গ কিলোমিটার(১০হেক্টর) অঞ্চল জুড়ে এই পুরাকীর্তিটি অবস্থিত। প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শনটির ভূমি পরিকল্পনা চতুর্ভূজ আকৃতির।[১]এটি বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের প্লাবনসমভূমিতে অবস্থিত,প্লাইস্টোসীন যুগেরবরেন্দ্র নামক অনুচ্চ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। মাটিতে লৌহজাত পদার্থের উপস্থিতির কারণে মাটি লালচে। অবশ্য বর্তমানে এ মাটি অধিকাংশ স্থানে পললের নিচে ঢাকাপড়েছে। পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে প্রায় ৩০.৩০ মিটার উচুতে অবস্থিত পাহাড় সদৃশ স্থাপনা হিসেবে এটি টিকে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন একে 'গোপাল চিতার পাহাড়' আখ্যায়িত করত। সেই থেকেই এর নাম হয়েছে পাহাড়পুর, যদিও এর প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার।


No comments:

Post a Comment